ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজার কাছে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের এই ঘটনা ঘটে যখন বেপারী পরিবহনের একটি বাস থেমে থাকা তিনটি যানবাহনকে ধাক্কা দেয়।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের জিলানী জানান, আজ সকাল ১১টার দিকে ধলেশ্বরী টোলপ্লাজার সামনে একটি মাইক্রোবাস, একটি প্রাইভেট কার এবং একটি মোটরসাইকেল টোল পরিশোধের জন্য থেমে ছিল। ঠিক তখনই বেপারী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে তীব্র গতিতে ধাক্কা দেয়, ফলে গাড়িগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ বলেন, “বাসটির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়।”
এই দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেনের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪৫), তাঁর মেয়ে ইসরাত জাহান (২৬) ও রিহা মনি (১১), রাজধানীর কদমতলীর জুরাইন এলাকার বাসিন্দা মো. সোহাগের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২) ও রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার বাসিন্দা সুমন মিয়ার ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।
আহতরা হলেন নিহত আমেনা আক্তারের মেয়ে অনামিকা আক্তার (২৪), কদমতলীর জুরাইন এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের ছেলে নুর আলম (২৮) ও তাঁর মেয়ে ফাহমিদা আক্তার (১৭)। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহতদের ঢাকার মিডফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, দুর্ঘটনার পরপরই টোল প্লাজার কর্মী ও টহল সেনাসদস্যদের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া মহাসড়ক থেকে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল এবং এক পর্যায়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এই দুর্ঘটনা আবারও মহাসড়কের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অব্যাহত থাকতে পারে।


