- কক্সবাজারের বাহারছড়ার উপকূলবর্তী সাগরে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি গ্রীণলাইনের ইঞ্জিন বিকল
- জাহাজে ৭১ জন পর্যটক ছিলেন, যাদের সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
- ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেদের সমন্বয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান।
- উদ্ধার অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কক্সবাজার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪: সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজার ফেরার পথে টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলবর্তী সাগরে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি গ্রীণলাইনের ইঞ্জিন আকস্মিকভাবে বিকল হয়ে যায়। ফলে জাহাজটি সাগরে আটকা পড়ে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং স্থানীয় জেলেদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় রাতেই ৭১ জন পর্যটককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম জানান, “জাহাজটি সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুরের আগেই সেন্টমার্টিনে পৌঁছায় এবং বিকেল ৪টার দিকে কক্সবাজারের পথে রওনা দেয়।”
রাত ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া উপকূলীয় সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে জাহাজটি আটকা পড়ে। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং জাহাজের ক্রুরা দ্রুত ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং কোস্টগার্ডকে বিষয়টি জানান।
ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌবাহিনী, বিজিবি এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা রাত ৯টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। স্থানীয় জেলেদেরও এই অভিযানে যুক্ত করা হয়। টেকনাফের ইউএনও শেখ এহেসান উদ্দিন জানান, “জাহাজটি যেহেতু উপকূলের কাছাকাছি ছিল, তাই জোয়ারের পানি কমার পর পর্যটকদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।”
উদ্ধার অভিযানে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। ৭১ জন পর্যটকের সবাইকে নিরাপদে উপকূলে নিয়ে আসা হয়। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেন কর্মকর্তারা।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তারা পর্যটকদের আশ্বস্ত করে বলেন, “এ ধরনের পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে আমরা সব সময় প্রস্তুত।” তবে জাহাজগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তারা উল্লেখ করেন।
স্থানীয় প্রশাসন এবং উদ্ধারকারীদের প্রশংসা করেছেন উদ্ধার হওয়া পর্যটকরা। এক পর্যটক বলেন, “প্রথমে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা খুব দ্রুত আমাদের নিরাপদে ফিরিয়ে এনেছেন।”
বাহারছড়ার এই ঘটনা দ্রুত ও সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সমাধান হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে পর্যটকবাহী জাহাজগুলোর নিয়মিত ইঞ্জিন পরীক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।