চাঁদের বুকে মানুষের বসতি স্থাপনের স্বপ্ন একসময় বিজ্ঞান কল্পকাহিনির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। নাসা, স্পেসএক্স, এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) মতো সংস্থাগুলো এ নিয়ে গবেষণায় অগ্রগতি করছে। ২০২৩ সালে নাসার আর্টেমিস প্রকল্পের মাধ্যমে চাঁদে পুনরায় মানব অভিযান শুরু হয়, যা ভবিষ্যতে টেকসই বসতি স্থাপনের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদে মানুষের বসতি স্থাপনে প্রধান বাধাগুলো হল অক্সিজেনের অভাব, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, এবং মাইক্রোমিটিওরাইট আঘাত। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় “লুনার কনক্রিট” তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা চাঁদের মাটি ও সুরক্ষামূলক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি হবে। একই সঙ্গে, চাঁদে খাদ্য উৎপাদন এবং পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রযুক্তি নিয়েও গবেষণা চলছে।
চাঁদের পৃষ্ঠে জমে থাকা হিমায়িত পানির উৎসগুলোকে প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চিন্তা করা হচ্ছে। মাইক্রোগ্র্যাভিটির কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েও গবেষণা চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২০৩০ সালের মধ্যেই চাঁদে মানুষের স্থায়ী বসতি স্থাপন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানীরাও মহাকাশ গবেষণায় ভূমিকা রাখছে। দেশের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ছাড়িয়ে মহাকাশে টেকসই বসতি স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করছে।