- চীনা ধনী পর্যটকদের জন্য জাপান ১০ বছরের মাল্টিপল-এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করছে।
- ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য চাকরির প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করা হয়েছে।
- দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় দুই দেশ বাণিজ্য, পর্যটন, এবং শিক্ষাখাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ১০টি চুক্তি সম্পন্ন করেছে।
চীনা ধনী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে জাপান আগামী বসন্তে ১০ বছরের মাল্টিপল-এন্ট্রি ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করতে যাচ্ছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য চীন থেকে আগত পর্যটকদের জন্য ভ্রমণকে সহজতর করা এবং দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটনের অবদান বাড়ানো। এই ভিসা পেতে আবেদনকারীদের উচ্চ আয়ের এবং সম্পদের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
বর্তমান ব্যবস্থায় চীনা নাগরিকরা ৩ বা ৫ বছরের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসার মাধ্যমে জাপানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভ্রমণ করতে পারেন। নতুন ভিসা ব্যবস্থা পর্যটকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সুযোগ দেবে।
এছাড়া, চীনা পর্যটকদের দলগত ভ্রমণের জন্য ভিসার থাকার সময়সীমা ১৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পর্যটকরা জাপানের গ্রামীণ অঞ্চলগুলো অন্বেষণ করার বেশি সুযোগ পাবেন।
৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য চাকরির প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে। তিন বছরের ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে তিন মাসের মধ্যে এটি ব্যবহারের নিয়মও বাতিল করা হয়েছে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী তাকেশি ইওয়া এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই-এর মধ্যে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ১০টি সাধারণ চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। পর্যটন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই দেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে।
জাপানি সামুদ্রিক খাদ্য আমদানির ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে দুই দেশ সম্মত হয়েছে। ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু কেন্দ্রের দূষিত পানি সমুদ্রে ছাড়ার পর ২০২৩ সালের আগস্টে চীন জাপানি সামুদ্রিক খাদ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এখন চীনের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক মনিটরিং ব্যবস্থা গঠনের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে তুলে নেওয়া হবে।
জাপান এবং চীন, বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনৈতিক শক্তি, উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। পর্যটন, বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় এই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে পারে। তবে, উভয় দেশের মধ্যে কিছু বিষয় এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে, যেমন জাপানি নাগরিকদের চীনে আটকের ঘটনা।
এই পদক্ষেপগুলি জাপানের পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।