জাতিসংঘ সদর দফতরে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ আয়োজনে শুরু হয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন, যেখানে ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রথম বক্তৃতা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এরপর বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং অন্যান্য বিশ্বনেতারা। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ভিডিওবার্তার মাধ্যমে বক্তব্য দেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ভিসা না দেওয়ায় তিনি ও তার প্রতিনিধি দল নিউইয়র্কে উপস্থিত হতে পারেননি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণে জানান, তার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তিনি বলেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করা এবং হামাসের হাতে আটক ৪৮ জন বন্দিকে মুক্ত করার এখনই সময়। তিনি সতর্ক করে দেন, শান্তির সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার মুহূর্ত ঘনিয়ে এসেছে।
ম্যাক্রোঁ ৭ অক্টোবরের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন—দুই রাষ্ট্র পাশাপাশি বসবাস করেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তার ভাষায়, “চলমান যুদ্ধের কোনো ন্যায্যতা নেই। এখনই এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে হবে।” তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকার স্বীকার করলে ইসরায়েলিদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয় না।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অ্যান্ডোরা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সান মারিনোসহ একাধিক দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনও একই পথে এগোচ্ছে বলে তিনি জানান।
ম্যাক্রোঁ গাজায় একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের আহ্বান জানান, যেখানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হবে হামাসকে ধ্বংস করার তদারকির জন্য। তিনি জানান, ফ্রান্স একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বা স্থিতিশীলতা মিশনে অবদান রাখতে প্রস্তুত। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, হামাসের হাতে আটক সব বন্দি মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ফ্রান্স ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে দূতাবাস খোলার উদ্যোগ নেবে না।


