- প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন যুবকদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন।
- নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার সংস্কার প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বর বা ৩ জানুয়ারির মধ্যে জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
- সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকার বিষয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করার জন্য উভয় পক্ষ আলোচনা করেছে।
ঢাকা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪: নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এর সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, “ভোটার তালিকায় যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।” আজ রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কমিশন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছে। তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত হওয়ার আগে আমাদের সুপারিশ জানতে চেয়েছে। আমরা যা প্রয়োজন তা তাদের জানিয়েছি। বিশেষ করে সীমানা নির্ধারণ এবং ভোটার তালিকার বিষয়ে।”
সংস্কার কমিশনের পরিকল্পনা
সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সংস্কার প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে ৩ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য স্টেকহোল্ডারদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ জানতে আমরা আলোচনা করেছি।”
সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকার গুরুত্ব
বৈঠকে সীমানা নির্ধারণ এবং ভোটার তালিকার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সিইসি নাসির উদ্দীন বলেন, ‘ডিলিমেটেশন (সীমানা নির্ধারণ) সংক্রান্ত কিছু আছে এবং ভোটার তালিকাসংক্রান্ত কিছু আছে। এ ছাড়া যেগুলো নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলোর বিষয়ে আমাদের কিছু সুপারিশ থাকবে। তারা সুপারিশ করুক আর না করুক, আমাদের তা অ্যাড্রেস (চিহ্নিত) করতে হবে। তা না হলে আমরা ডিলিমেটেশনকে অ্যাড্রেস করতে পারছি না।
‘ভোটার তালিকায় যেহেতু যুবকদের আনতে চাই’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেহেতু এখানেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা তাদের বিষয়গুলো জানতে চাইছি। আমাদের কী প্রয়োজন সেগুলো বলেছি।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “নির্বাচনে সুষ্ঠুতা এবং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো চিহ্নিত করা জরুরি।”
সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম জানিয়েছেন, প্রতিবেদনটি নির্ধারিত সময়ে জমা দেওয়ার জন্য কাজ করছে। প্রতিবেদনে নির্বাচনী সীমানা, ভোটার তালিকা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যান্য বিষয়ে সুপারিশ থাকবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন এবং সংস্কার কমিশনের এই আলোচনাকে ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।