প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবাধিকারকে বিশ্বাসের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে প্রতিটি মানুষের মর্যাদা ও অধিকার বৈষম্যহীনভাবে নিশ্চিত হয়। মানবাধিকার দিবস–২০২৫ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি জানান, জাতীয় মানবাধিকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অংশীদার ও জাতিসংঘের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, তরুণদের নেতৃত্বে পরিচালিত ঐতিহাসিক জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের দেড় বছর পর বাংলাদেশ এদিন পালন করছে। জনগণের বিপুল সমর্থনে সেই আন্দোলন নিপীড়ন ও স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছে এবং ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর পথ তৈরি করেছে। এখন দেশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে গণতান্ত্রিক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরো জানান, মানবাধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের নয়টি মূল চুক্তির সবগুলোতেই বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে, যার সর্বশেষটি গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশন। শ্রমিক অধিকার সুরক্ষায় আইএলও–এর সব মূল কনভেনশনেও দেশ সই করেছে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন এবং গাজাসহ বিশ্বের যেকোনো স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।


