রাজধানীর বিজয়নগরে জাপা ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার (২৯ অগাস্ট) সন্ধ্যার দিকে নুর ও রাশেদ খানের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের মিছিল বিজয়নগর থেকে কাকরাইলের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে কিছু নেতা-কর্মীর উপস্থিতি উত্তেজনা সৃষ্টি করে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে পদক্ষেপ নেন।
রাত ৮টার দিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বিজয়নগর কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এরপর গণঅধিকার পরিষদের নেতারা নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। সংবাদ সম্মেলেনের প্রস্তুতি চলাকালে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাদের সরানোর চেষ্টা করে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে অনেকে এবং অতর্কিত হামলায় নুর গুরুতর আহত হন।
বিজয়নগরে গণঅধিকার-জাপা সংঘর্ষ বিষয়ে জাপা দাবি করেছে, গণঅধিকার পরিষদের কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জাপার নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের মিছিলে অপ্রত্যাশিত হামলা চালিয়েছে। আহত নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, “গণঅধিকার পরিষদের হামলায় আমাদের কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলার একপর্যায়ে আমাদের নেতাকর্মীরা সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।”
গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলের পথে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বিনা উসকানিতে হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ঘটনার পর আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন রয়েছেন।
বিজয়নগরে জাপা-গণঅধিকার সংঘর্ষের এই ঘটনা রাজধানীর রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করেছে। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও সেনা যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।


