বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান।
আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন হাসপাতালে পৌঁছান। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বার্তায় এবং বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার পর হাসপাতালে আসেন সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধান। তাঁরা বিএনপির চেয়ারপারসনের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। রাত নয়টার পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান হাসপাতাল থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন হাসপাতালে আসেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকেও নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানেরা হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন।
শায়রুল কবির জানান, দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে তিন বাহিনীর প্রধান এভারকেয়ারে এসেছিলেন। তারা মেডিকেল বোর্ড সদস্যদের কাছ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং রাত ৯টা ২০ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বিদায় নেন।
বেগম খালেদা জিয়া বহু দিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়ে। পরে তার অবস্থা সংকটময় বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
হাসপাতালের সামনে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের তথ্য জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সবাই ধৈর্য ধরুন, কেউ গুজব ছড়াবেন না।’
আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাঁর নির্বিঘ্ন চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত এবং তাঁর উচ্চ মর্যাদা বিবেচনায় তাঁকে রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা এবং কার্যকর করা হয়েছে।


