শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তাদের চলমান কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত এবং বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আগামীকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে স্বাভাবিকভাবে বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) এ তথ্য জানায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয়—এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা বাসমাশিস ঘোষিত কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। বার্ষিক পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যে মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন, তা অনুধাবন করে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
‘আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা ও তাদের শিক্ষাজীবনকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। তাই আগামীকাল (৩ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, একই সঙ্গে আমাদের ন্যায্য দাবি–দাওয়া সমাধানের পথে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ কামনা করছি, যেন ভবিষ্যতে শিক্ষা কার্যক্রম আর বাধাগ্রস্ত না হয়। যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা চার দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। তাদের দাবিগুলো হলো সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেট প্রকাশ, বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ–পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া এবং ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের ২ থেকে ৩টি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন–সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ।
বাসমাশিস সূত্র জানিয়েছে, দাবির বিষয়ে তাঁরা প্রথমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সন্তোষজনক উত্তর পাননি। ফলে তারা লাগাতার কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
