- পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
- চট্টগ্রাম-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের কর্তৃক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থপাচার নিয়ে পদক্ষেপ।
- গত ছয় মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ গড়ে ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।
- রেমিট্যান্সের উপর ২.৫% প্রণোদনা দিয়ে প্রবাহ বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
- আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করা হবে। শনিবার, ১১ জানুয়ারি, রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে “সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি” আয়োজিত “ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ” শীর্ষক কনফারেন্সে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর এই তথ্য জানান।
চট্টগ্রাম-ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থপাচার দেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে এফবিআইসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এই তহবিল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ বিষয়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ড. মনসুর জানান, গত ছয় মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ গড়ে ২৬ শতাংশ বেড়েছে, যার পরিমাণ ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণের প্রণোদনা এবং আমলাতান্ত্রিক বাধা কমানোর প্রচেষ্টা এই প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
গভর্নর বলেন, “দুবাই থেকে অর্থপাচারের মতো ঘটনাগুলো স্বচ্ছতা ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্যাংকিং খাতে মানুষের আস্থা ফেরাতে হলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা জরুরি।
ব্যাংকিং চ্যানেলে সরাসরি রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি ২.৫ শতাংশ প্রণোদনার কথা উল্লেখ করেন। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও এ প্রণোদনা রেমিট্যান্স প্রবাহকে শক্তিশালী করেছে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, সঠিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থপাচার রোধ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব।