রবিবার, অক্টোবর ২৬, ২০২৫

আবারও ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদীর পানি। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় পানি ১৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানি বৃদ্ধির ধারা চলতে থাকায় যে কোনো সময় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

পাউবো জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দেওয়া হয়েছে এবং নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার পানি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে লালমনিরহাটের পাশাপাশি রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

গত আগস্ট মাসে তিন দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিস্তাপাড়ের কৃষকরা। তাদের বোনা আমন ধান তলিয়ে গেছে। পরে আবারও তারা জমিতে চারা রোপণ করেছেন। তবে পানি আবার বাড়লে সেই ফসলও ক্ষতির মুখে পড়বে। এতে কৃষক পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

তিস্তা ব্যারাজ কন্ট্রোল রুমের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “দুপুর ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীতীরবর্তী মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে।” পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বলেন, “বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তাই নদীপাড়ের মানুষদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি।”

Share.
Exit mobile version