নারীমুক্তি ও মানবাধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারী সমাজকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
আগামীকাল ৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও দেশে নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার স্মরণে দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে—এ জন্য তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই অঞ্চলের নারীদের যথাযোগ্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বেগম রোকেয়ার অসামান্য অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি এই মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি আরো বলেন, ঊনবিংশ শতাব্দীর রক্ষণশীল সমাজে পিছিয়ে থাকা নারীদের উন্নয়নে শিক্ষাই ছিল মূল চাবিকাঠি—এ উপলব্ধি থেকেই বেগম রোকেয়া নারী উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা জানান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গ্রামীণ অসচ্ছল নারীদের উন্নয়নে ভ্যালনারেবল উইমেন বেনিফিট কর্মসূচি, দরিদ্র গর্ভবতী ও কর্মজীবী মায়েদের আর্থিক সহায়তা, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম, নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সহায়তা এবং কর্মজীবী নারীদের নিরাপদ আবাসনের জন্য হোস্টেল পরিচালনা করছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ২৪ ঘণ্টা টোল-ফ্রি হটলাইন ১০৯ কার্যক্রমও চলছে।
বেগম রোকেয়ার আদর্শ অনুসরণে নারী অধিকার ও উন্নয়নে অবদানের জন্য যাঁরা ‘বেগম রোকেয়া পদক’ পেয়েছেন, তাঁদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অভিনন্দন জানান। তিনি ‘বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৫’-এর সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
