মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২৫

ফজলুর রহমানের মন্তব্য অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্টের ঘটনা কোনো সাধারণ রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না। এটি ছিল সুপরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র, যেখানে সরাসরি দায় রয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর ওপর।

একটি টেলিভিশন টকশোতে ফজলুর রহমান বলেন, আন্দোলনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। তিনি বলেন, “এই সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্টের জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। ৫ আগস্টের ঘটনায় যারা জড়িত, তারা হলো জামায়াত এবং তাদের অগ্রগামী শক্তি ইসলামী ছাত্রশিবির। যারা অভ্যুত্থানটির অভিনয় করেছে, তাদের আমি নেতা বলব না, অভিনেতা বলব।”

ফজলুর রহমান আরও বলেন, “আমরা ভাবতাম ৫৪ বছর পর তারা পূর্বপুরুষদের পরাজয়ের লজ্জা ভুলে গেছে। কিন্তু তা হয়নি, বরং দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফিরে এসেছে। জামায়াত দেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে এবং পেছনে রয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এখন তারা এমন শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার কাছে অর্থ, বিত্ত—সবই রয়েছে।”

তিনি উল্লেখ করেন, অনানুষ্ঠানিকভাবে দেশের ক্ষমতায়ও জামায়াত কার্যকরভাবে উপস্থিত। তবে দলটি জানে, নির্বাচনের মাধ্যমে সরাসরি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ফজলুর রহমান বলেন, “বিএনপি তাদের প্রধান প্রতিবন্ধক। তারা টাকা-পয়সা দিয়ে তরুণ সমাজের একটি অংশকে প্রভাবিত করে শক্তি সংগ্রহ করছে। প্রশাসনের সকল স্তর যেমন এসি ল্যান্ড থকে শুরু  করে ইউএনও, পুলিশ, সচিব পর্যন্ত, ব্যাংক, শেয়ার কোম্পানি, মার্কেট, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠন সবকিছু তারা দখল করেছে। মানুষ বুঝে গেছে, তারা রাজাকারের বংশধর। ৫৪ বছর পরও তারা প্রতিশোধ নিতে চায়।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের ‘কালোশক্তি” এবং ‘রাজাকারের বাচ্চা’  উল্লেখ করে দেওয়া ফজলুর রহমানের মন্তব্য দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে । জানা গেছে ধারাবাহিকভাবে ফজলুর রহমানের দেওয়া বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্যে নিয়ে বিএনপির নীতি নির্ধারক পর্যায়ে অস্বস্তি রয়েছে।

Share.
Exit mobile version