বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অন্তবর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রয়েছে। বাধা যতই আসুক না কেন, জনগণকে ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচন হবে ভিন্নধর্মী। যারা জীবনে প্রথমবার ভোট দেবে কিংবা অতীতে ভোটের অভিজ্ঞতায় হতাশ হয়েছিল, তাদের জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, “কেউ যেন বলতে না পারে—ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনে পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। ইতোমধ্যেই কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, সামনে আরও দেখা দেবে। এজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তবে লক্ষ্য স্পষ্ট যে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।”

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন নয়, বরং সবার নির্বাচন। এই নির্বাচন ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণে একটি বড় পদক্ষেপ। “সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোট দিতে আসুক, এবং আজীবন যেন এ অভিজ্ঞতা মনে থাকে,” যোগ করেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পাশাপাশি তিনি আসন্ন দুর্গাপূজার সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার দিকেও গুরুত্বারোপ করেন।  প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অনেকেই গণ্ডগোল তৈরির চেষ্টা করবে, তবে সরকার সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে।

বৈঠক শেষে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের সহধর্মিণী মারিয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় নূরের সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন ড. ইউনূস।

আজকের বৈঠকে এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ অংশ নেয়।

Share.
Exit mobile version