- জুলাইয়ের আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার।
- ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত।
- অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন।
- চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও বিস্তারিত তদন্ত করা হবে।
- শিক্ষক সম্পৃক্ততার বিষয়ে আলাদা কমিটি কাজ করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা গত জুলাইয়ে আন্দোলনের সময় হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের মুখোমুখি। সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের ভিত্তি ছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুন্সী শামসুদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সিন্ডিকেট সভায় বিস্তারিত আলোচনার পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিষ্কৃতদের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের জন্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস এ ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক স্বপন, এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক। কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, সিন্ডিকেটের এই সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত নয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, “৫০০ পৃষ্ঠার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিক্ষক সম্পৃক্ততার বিষয়ে আলাদাভাবে একটি কমিটি কাজ করছে।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্পষ্ট করেছে যে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। একইসঙ্গে তারা তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে এবং নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের সুবিচার নিশ্চিত করতে কাজ করছে।