- বিএনপি অন্যায়কারী নেতাকর্মীদের প্রশ্রয় দেয় না বলে মন্তব্য তারেক রহমানের।
- দলকে শক্তিশালী করতে পুনর্গঠন ও ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পরিকল্পনা।
- নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বচ্ছ ভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান।
- রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে উৎপাদন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্য খাতে অগ্রাধিকার।
বিএনপি অন্যায়কারীদের কোনো ধরনের প্রশ্রয় দেয় না এবং এই নীতিই অন্য দলগুলোর সঙ্গে বিএনপি’র প্রধান পার্থক্য বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিএনপিই একমাত্র দল, যারা অন্যায়কারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং জনসম্মতিবিহীন কাজের ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয় না। বিএনপির রাজনীতির মূল লক্ষ্য জনগণের সমর্থন অর্জন করে এগিয়ে যাওয়া।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। সম্প্রতি বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর মধ্যে কেউ কেউ অনৈতিক কাজ করতে পারে, তবে বিএনপি এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অন্যায়ের বিষয়ে দলের অবস্থান সবসময় পরিষ্কার।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির বর্তমান প্রধান কাজ হলো দল পুনর্গঠন করা, শক্তিশালী করা এবং জনগণের পাশে থাকা। এজন্য ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার প্রস্তাব দেশব্যাপী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
দেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও প্রধান কাজ হওয়া উচিত একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জরুরি সংস্কার কাজ শেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুতই নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
বিএনপির কাছে দেশ ও জনগণই প্রধান অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, অতীতে বিএনপি যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে, মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছে। তবে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে জনগণের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে বিএনপি উৎপাদন বৃদ্ধি, শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, নারীদের ক্ষমতায়ন এবং স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে, যাতে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না হয়।