• টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের খবর মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
• তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে কোনো সাংবাদিক কথা বলেননি এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
• মিথ্যা সংবাদে সামাজিক সম্মানহানি ও মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়েছেন।
• ডাকাতেরা টাকা ও গয়না লুট করেছে, তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।
• সংবেদনশীল বিষয়ে যাচাই না করে খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর দাবি করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর সঙ্গে কোনো সাংবাদিক কথা বলেননি, অথচ ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ায় তিনি সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর ধারে এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ডাকাতেরা তাঁর টাকা ও গয়না লুট করেছে, নারী যাত্রীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার সব কিছু লুট হলো, সেটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু মিথ্যা কলঙ্ক চাপিয়ে আমার জীবন শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষ আমাকে সন্দেহ করছে, অথচ আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ, তিনি সেদিন বাসে ছিলেনই না।”
১৭ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের বড়াইগ্রামে রাজশাহীগামী বাসটি ডাকাতদের কবলে পড়েে। ওই নারী জানান, তিনি সাভারের হেমায়েতপুর থেকে বাসে উঠেছিলেন। ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে টাকা, গয়না ছিনিয়ে নেয়। তাঁকে ছয়-সাতবার দেহ তল্লাশি করা হয় এবং হাতে থাকা চুড়ি খুলে নেওয়ার সময় তিনি ব্যথায় চিৎকার করেছিলেন। তাঁর ধারণা, সেই চিৎকারের ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেই ধর্ষণের গুজব ছড়ানো হয়েছে।
নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়ে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, ডাকাতেরা নারী যাত্রীদের নির্যাতন করলেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। অথচ সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁর নামে ভুয়া বক্তব্য ছেপেছে, যা তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় করছে। তিনি বলেন, “এখন সবাই বলছে, মিডিয়ায় খবর এসেছে, কিছু না হলে কি এমন কথা উঠত? অথচ আমি জানি, আমার সঙ্গে যারা ছিল, তারা জানে আসল সত্য। এখন কি আমার কথা মিথ্যা আর মিডিয়ার কথা সত্য?”
তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, কোনো সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশের আগে ভুক্তভোগীর বক্তব্য যাচাই করা হোক, যাতে কেউ মিথ্যা তথ্যের কারণে মানসিক যন্ত্রণা ও সামাজিক অপমানের শিকার না হন।